Header Ads

Alutila Tour

 






স্থানীয়দের কাছে যা মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা নামে পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় খাদ্যাভাব দেখা দিলে, খাগড়াছড়ির স্থানীয় জনগণ এই পর্বত থেকে বুনো আলু খেয়েই জীবনধারণ করেছিল ।

এরপর থেকেই পর্বতটি আলুটিলা নামে পরিচিতি পায়। প্রায় ২৭০ টি সিড়িঁর ধাপ নীচে নামলে পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান। এই গুহাটি খুবই অন্ধকার ও শীতল।

কোন প্রকার সূর্যের আলো প্রবেশ করে না বলে মশাল নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। তবে অতিরিক্ত পর্যটনের চাপে অতিরিক্ত মশালের কারনে আলুটিলা তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাতে বসেছে।

তাই আমরা মশালের পরিবর্তে টর্চ/মোবাইলের আলো ব্যবহার করতে পারি। সুড়ঙ্গের তলদেশ পাথুরে ও এর তলদেশে একটি ঝর্ণা প্রবাহমান।

গুহাটি দেখতে অনেকটা ভূ-গর্ভস্থ টানেলের মত যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ ফুট। গুহাটির এপাশ দিয়ে ঢুকে ওপাশ দিয়ে বের হতে আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। গুহাটির উচ্চতা মাঝে মাঝে খুব কম হওয়ায় নতজানু হয়ে হেটে যেতে হয়।

 

জেনে রাখা ভাল

  • সাবধানে হাঁটা উচিত কেননা গুহাটির ভিতর সূর্যের আলো না যাওয়ার কারনে অন্ধকার ও চলার পথ উঁচু-নিচু। ভয় নেই, গুহাটি পিচ্ছিল নয়।
  • অনেকে মশাল ব্যবহার করে। দূষনের কারনে আমরা মশাল ব্যবহার করতে নিষেধ করি, তার পরিবর্তে টর্চ কিংবা মোবাইলের আলো ব্যবহার করা যায়।
  • আস্তে আস্তে চারপাশে দেখে হাঁটলে দেখবেন সৃষ্টিকর্তার অপরুপ সৃষ্টি। কোথাও একেবারে শুষ্ক আর কোথাও হতে অনবরত ছুয়ে ছুয়ে পানি পড়ছে।
  • ভেতরে হৈ-হুল্লোড় না করে উপভোগ করুন ও অন্যদের উপভোগ করতে দিন। কেন শুধু শুধু অন্যদের বিরক্তির কারন হবেন
  • প্রবেশের সময় সঙ্গে কিছু রাখবেন না। এতে আপনার চলতে সুবিধা হবে।
  • মোবাইল ও টাকা সাবধানে রাখুন। নিচে পড়ে যাতে ভিজে না যায়।
  • গুহার ভেতর কিছু ফেলা থেকে বিরত থাকুন। এতে এর পরিবেশ নষ্ট হয় এবং অন্যদের চলাচলে অসুবিধা হয়।
  • শীতের সময় পানি কম থাকে বলে, জুতা পায়ে যাওয়া যায়। তবে প্রায় সারা বছরই গুহাতে পানি থাকে বলে জুতার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
  • গুহা থেকে বের হওয়ার পর পাবলিক টয়লেটে পা পরিস্কার করার ব্যবস্থা আছে।

No comments

Powered by Blogger.